বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীর শেখেরচর বাজারে আদালতের আদেশ অমান্য করেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দোকান ঘর দখলের পায়তারা।
মাধবদী প্রতিনিধি।
নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দীর ইউনিয়নের শেখের চর বাজারে (বাবুর হাটে) আদালতের আদেশ অমান্য করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বারবার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঘর দখলের দোকান ঘর দখলের পায়তার বা অপচেষ্টা চালাচ্ছে একই উপজেলার মেহের পাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর গ্রামের শাহীন ভুইয়াও শুভ গংরা। এব্যাপারে দোকানের মালিক কোহিনুর বেগমের স্বামী শহিদুল্লাহ বাহার নরসিংদী মডেল থানার অন্তরগত শেখেরচর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগ থেকে জানা যায় শহিদুল্লাহ বাহারের স্ত্রী কোহিনুর বেগমের মালিকানাধীন নরসিংদী মডেল থানাধীন শেখেরচর বাজার সাখিনস্থ শেখেরচর মৌজায় অবস্হিত ১.৯৪ শতাংশ, খতিয়ান নং-৩৭৬১, আর,এস দাগ নং ১৬০৮ কয়েক টি দোকান ঘর রহিয়াছে, যা শহিদুল্লাহ বাহার সাহেব প্রয়োজনীয় দেখাশুনা ও তদারকি করিয়া থাকেন । । প্রকাশ থাকে যে, বিবাদী শাহিন হোসেন ভূইয়া গত ২০০৮ সালে যার নং ১৪৫৭১/০৮ নং রেজিস্ট্রিকৃত পাওয়ার অফ এটর্নি দলিল মূলে বাদী মোঃ শহিদুল্লাহ বাহারকে রেজিষ্ট্রি করিয়া দখল বুজাইয়া দেয়। যা পরবর্তীতে শহিদুল্লা বাহার প্রায় ১২ বছর পর মো: রেজুয়ান মিয়ার নিকট রেজিস্ট্রিকৃত ২০১৯ সালে যার নংে১৭৫৯৬/১৯ নং সাফ কবলা দলিল মূলে বিক্রয় করিয়া দখল বুজাইয়া দেন। পরে রেজুয়ান মিয়া জিবিকার প্রয়োজনে বিদেশে অবস্থান করার কারণে ২০২২ সালে রেজিস্ট্রিকৃত ৩৪৮৫/২২ নং দলিল মূলে পাওয়ার অফ এটর্নি মূলে মোসা: কুহিনুর আক্তারকে রেজিষ্ট্রি করিয়া দখল বুজাইয়া দেয়। এরপর মোসা: কুহিনুর বেহম ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে চুক্তিনামা দলিল মূলে ৪ জন বাড়াটিয়া নিয়োগ করিয়া ১৪৩০ বাংলা ১৪৩১ বাংলা ও ১৪৩২ বাংলা ভাড়া দিয়া ভোগদখল করিয়া আসিতেছেন। ইতিমধ্যে ১নং বিবাদী অসত্য উক্তিতে নরসিংদীর বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা করিয়া অস্থায়ী নিষেধজ্ঞার আবেদন করিলে আদালত শুনানী শেষে ১১-০৯-২০২২ইং তারিখে আবেদন বাতিল করিয়া দেন। এরপর ১নং বিবাদী অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন। যাহা শুনানী শেষে ১১-১২-২০২৩ইং তারিখে খারিজ করিয়া দেন। এরপর ১নং বিবাদী নরসিংদী জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন। মাননীয় জেলা জজ আদালত উভয় পক্ষের শুনানী শেষে গত ০৭-১১-২০২৩ ইং তারিখে আদেশ প্রদান করেন যে, বর্তমান দখল বজায় রেখে সাব জজ ১ এর মামলা চূড়ান্ত নিষপত্তি না হওয়া পর্যন্ত সর্ব প্রকার স্থিতী অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন উভয় পক্ষকে। কিন্তু উক্ত বিবাদীগণ আরও অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী নিয়া কোর্টের রায় অমান্য করিয়া, কোর্টের রায়ের প্রায় সাড়ে ৫ মাস পর অর্থাৎ ২৩-০৪-২০২৪ইং তারিখে অতর্কিত ভাবে বাহার সাহেব এর স্ত্রীর মালিকানাধীন ও দখলীয় দোকান ঘরে হামলা চালায়। তখন বাহার সাহেব বাদী হয়ে ২৯-০৫-২০২৪ইং তারিখে আইন শৃঙ্খল বিঘ্নকারি অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার) আদালতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত নরসিংদী মডেল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন যে, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে, এবং ৪/৫ ধারার অপরাধ সংঘটিত করিয়াছে। পরবর্তীতে আদালত আবেদন আমলে নিয়া বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। বিবাদীরা আদালতে আত্ম সর্মপণ করে জামিন লাভ করিয়া পুনরায় তাহার স্ত্রীর দখলীয় দোকান ঘরের সামনে এবং আসে পাশে প্রতি নিয়ত মহড়া দিয়া ভয় ভিতি প্রদশন করিয়া আসিতেছে, এবং তারা দোকানে রক্ষিত সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এর মেশিন জোরপূবর্ক ছিনাইয়া নিয়া ফুটেজ ডিলিট করিয়া তাহাদের অপকর্মের প্রমাণপত্র বিনষ্ট করিয়া মেশিন ফেরত দিয়া যায়।। তখন সাথে সাথে শাহিন ভুইয়া ওতার দুই পুত্র শুভ ও সাফিমের নামে নরসিংদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন, পরে মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করিরা ঘটনার সত্যতা পেয়ে বাহার সাহেবের পক্ষে আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন।
বর্তমানে বিবাদীরা আবারো বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়া বেড়াইতেছে। এবং লোকমুখে শুনিতে পাইতেছে যে ৩০শা চৈত্র ১৪৩১ বাংলা বাহার সাহেবের স্ত্রীর দখলীয় দোকান ঘরে হামলা করিয়া,দোকান ঘরের তালা ভেঙ্গে তাদেরকে বেদখলের অপচেষ্টা করিবে। বাদা দিতে গেলে তাদেরকে প্রানে মেরে ফেলবে। এব্যাপারে শহিদুল্লাহ বাহার ও তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম তাদের জান মালের নিরাপত্তা ওদোকান ঘর রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও র্্যাব পুলিশের সাহায্য কামনা করেছেন।